পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত ফরিদপুরের সাংবাদিক গৌতম দাস হত্যা মামলার আপিলের রায়ে ৫ আসামির যাবজ্ঝীবন সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। গতকাল বুধবার বিচারপতি একেএম আবদুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীব গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে দন্ডপ্রাপ্ত অপর ৪ আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে। পাঁচ আসামি হলেন-আসিফ ইমরান, সিদ্দিকুর রহমান মিয়া, আসাদ বিন কাদির, আবু তাহের মো. মর্তুজা এহসান ওরফে অ্যাপোলো বিশ্বাস ও তামজিদ হোসেন বাবু। পাশাপাশি তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড বহাল রাখা হয়েছে। খালাসপ্রাপ্ত ৪ জন হলেন-আসিফ ইমতিয়াজ বুলু, কামরুল ইসলাম আপন, রাজীব হোসেন মনা ও কাজী মুরাদ।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের বিচারের রায়ে ২০১৩ সালে ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন ৯ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছিলেন। মামলার দশ আসামির মধ্যে একজন জাহিদ খান আগেই মারা যান। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অপর আসামীরা হলেন-আসিফ ইমরান, আসিফ ইমতিয়াজ বুলু, কাজী মুরাদ, কামরুল ইসলাম আপন, সিদ্দিকুর রহমান মিয়া, রাজিব হোসেন মনা, আসাদ বিন কাদির, আবু তাহের মো. মর্তুজা এহসান ওরফে অ্যাপোলো বিশ্বাস ও তামজিদ হোসেন বাবু। রায়ে আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেন বিচারিক আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা হাইকোর্টে পৃথক পাঁচটি ফৌজদারি আপিল দায়ের করেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ফরিদপুর শহরের মুজিব সড়কের সংস্কার ও পুনঃনির্মাণ কাজের অনিয়ম ও দূর্নীতির সংবাদ পরিবেশন করায় ফরিদপুরের সাংবাদিক গৌতম দাসের উপর ক্ষুব্ধ হয় সন্ত্রাসীরা। ২০০৫ সালের ১৭ নভেম্বর সন্ত্রাসীরা সমকালের ফরিদপুর ব্যূরো অফিসে ঢুকে সাংবাদিক গৌতমকে নির্যাতন ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এদিনই ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন সমকালের স্থানীয় প্রতিনিধি হাসানউজ্জামান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।